বর্তমানে দেশে মোট শ্রমশক্তি ৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার, যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮ দশমিক দুই পাঁচ শতাংশ এবং নারী ২৫ দশমিক চার চার শতাংশ। এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোর ফল সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে প্রকল্প পরিচালক আজিজা রহমান জানান, এছাড়া কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী বর্তমানে ৭১.১০ মিলিয়ন (পুরুষ ৪৬.৫৪ মিলিয়ন, নারী ২৪.৫৬ মিলিয়ন)।

তিনি জানান, প্রথম ত্রৈমাসিকের (জানুয়ারি-মার্চ) ফল অনুযায়ী, বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২.৫৯ মিলিয়ন (পুরুষ ১.৭১ মিলিয়ন, মহিলা ০.৮৮ মিলিয়ন)।

শ্রমশক্তির বাইরে অবস্থিত জনগোষ্ঠী ৪৬.৩৯ মিলিয়ন (পুরুষ ১১.১৯ মিলিয়ন, নারী ৩৫.২০ মিলিয়ন)।

এছাড়া শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ৬১.৩৭ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, অর্থনৈতিক খাত অনুযায়ী কৃষিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩১.৯৪ মিলিয়ন, শিল্পখাতে ১২.২৫ মিলিয়ন এবং সেবায় ২৬.৯১ মিলিয়ন। শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩ এর প্রথম ত্রৈমাসিক যুব শ্রমশক্তি ২৭.৩৮ মিলিয়ন (পুরুষ ১৪.০৩ মিলিয়ন, নারী ১৩.৩৫ মিলিয়ন)।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, বিবিএস মহাপরিচালক মো. মতিউর রহমান।

প্রকল্প পরিচালক আজিজা রহমান বলেন, শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য সংগ্রহের জন্য পুরো বাংলাদেশে ১ হাজার ২৮৪টি পিএসইউ এবং প্রতিটি পিএসইউতে ২৪টি খানা দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কোয়ার্টারে ৩০ হাজার ৮১৬টি খানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এভাবে এক বছরে তিন মাস ধরে চারটি কোয়ার্টার সম্পন্ন করা হবে। জরিপের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর (১ জানুয়ারি-৩১ মার্চ প্রথম ত্রৈমাসিক, ১ ফেব্রুয়ারি-৩০ জুন দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক, ১ জুলাই- ৩০ সেপ্টেম্বর তুতীয় কোয়ার্টার এবং ১ অক্টোবর- ৩১ ডিসেম্বর-২০২৩ পর্যন্ত চতুর্থ কোয়ার্টার চলমান থাকবে।

এই জরিপে প্রাপ্ত তথ্য  টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।