চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপিতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। শুধু তাই নয় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশের এই প্রবৃদ্ধি। আর আগামী অর্থ বছরে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে বাংলাদেশ। শীর্ষে থাকবে ভিয়েতনাম। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এই চিত্র।

করোনা অতিমারীর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা দ্রুত কাটিয়ে উঠছে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ প্রকাশিত ‘রিজিওনাল ইকোনমিক আউটলুক মে-২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে  উঠে এসেছে অঞ্চলটির সম্ভাবনা ও প্রবৃদ্ধির এই চিত্র। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরেই জিডিপি অর্জনে বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক শতাংশ, যা চীনের থেকে দশমিক তিন শতাংশ বেশি। শুধু বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে থাকছে। আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ, যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থানের দিক থেকে দ্বিতীয়। ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে শীর্ষে থাকবে ভিয়েতনাম। প্রবৃদ্ধি অর্জনে সেবছর ভারত ও চীনকে পেছনে ফেলবে বাংলাদেশ। আগামী অর্থবছরে চীন ও ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে যথাক্রমে ৪ দশমিক ৫ ও ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।

শুধু মন্দা কাটিয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন নয়। বৈশ্বিক জিডিপিতেও বৃহৎ অবদান রাখবে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলটির অর্থনীতি। ‘রিজিওনাল ইকোনমিক আউটলুক মে-২০২৩’ প্রতিবেদন প্রকাশের পরদিন এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন আইএমএফের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রধান কৃষ্ণা শ্রীনিবাস।

বৈশ্বিক জিডিপিতে ৭০ শতাংশ অবদান রাখবে এশিয়া। এর মধ্যে চীনের একক অবদান ৩৪ দশমিক নয় শতাংশ। আর বাংলাদেশের অবদান হবে এক দশমিক আট শতাংশ।

স¤প্রতি অনুমোদিত এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আর্থিক সহায়তা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করবে বলে উলে­খ রয়েছে আইএমএফের প্রতিবেদনে।