জ্বালানি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া। একইসঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে বাংলাদেশের ভূ-রাজনীতির ভূমিকাকেও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অস্ট্রেলিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিম ওয়াটসন। ঢাকায় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলোর সম্মেলনে যোগদান শেষে গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া একক আধিপত্যহীন উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ প্রশান্ত মহাসগর অঞ্চল দেখতে চায় বলেও জানান তিনি।
চার দিনের সফর শেষে সোমবার ঢাকা ছাড়ার আগে, রাজধানীর একটি হোটেলে বৈশাখী টেলিভিশনসহ দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সংগে কথা বলেন তিনি। এসময় বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাণিজ্য শিক্ষা খাতে সহযোগিতাসহ দুই দেশের সম্পর্কের নানা বিষয়ে কথা বলেন এই কূটনীতিক।
সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। তারা অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাব্য ক্ষেত্রসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সম্ভাবনা এবং প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রাখার প্রস্তুতিসহ প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান অস্ট্রেলিয়া সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক সহকারী মন্ত্রীকে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ব্যাপক অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন, পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া থেকে আরও কটন ও উল আমদানি করতে আগ্রহী।
বিজিএমইএ সভাপতি অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক সহকারী মন্ত্রীকে আগামী ১৮ জুলাই অস্ট্রেলিয়ায় বিজিএমইএর উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ অ্যাপারেল সামিট বিষয়ে অবহিত করেন এবং অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সহযোগিতা দেওয়ার অনুরোধ জানান।
এছাড়া টেক্সটাইল, পোশাক, ফ্যাশন ডিজাইন এবং ব্যবসা প্রভৃতি বিষয়ে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউএফটি) শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বিকাশে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফ্যাশন ইনস্টিটিউটগুলোর সহযোগিতার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের জন্য অস্ট্রেলিয়ার শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তের জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এটি এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে সহায়তা করবে বলেও জানান ফারুক হাসান।