সামুদ্রিক মাছের নিরাপদ প্রজনন ও উৎপাদন বাড়াতে আজ মধ্যরাত থেকে দেশের সমুদ্র এলাকায় মাছ শিকার ৬৫ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণে প্রতি বছর এই নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে জেলেদের জন্য বিশেষ ভিজিএফ সুবিধা দেয়া হয়, যার মাধ্যমে জেলেদের খাদ্য সরবরাহ করে মৎস্য বিভাগ।
দেশে প্রতি বছর ইলিশসহ অনান্য সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন বাড়ছে। বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের নিরাপদ প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের লক্ষ্যে এবারও সাগরে মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ৬৫ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা সফল করতে এরইমধ্যে জেলে পল্লী থেকে শুরু করে মৎস্য বন্দর গুলোতে শুরু হয়েছে প্রচার প্রচারণা। তবে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা কষ্টকর হবে বলে জানালেন জেলেরা।
সরেজমিন দেখা যায়, মধ্যরাত থেকে সাগরে আর মাছ শিকার করা যাবে না। টানা ৬৫ দিন সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। সে জন্য জাল উঠিয়ে সমুদ্র থেকে তীরে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা। কেউ ঘাটে এসে নোঙর করেছেন আবার কেউ তীরে ফেরার জন্য সমুদ্র থেকে রওনা হয়েছেন। তবে বৈরী আবহাওয়া আর একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় নাকাল সাগর উপকূলের জেলেরা। তাই তাদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ। নিষেধাজ্ঞার আগে মাছ শিকার করে কিছু পুঁজি করে রাখবেন জেলেরা–এবার তা-ও পারেনি বৈরী আবহাওয়ার কারণে। দীর্ঘদিন বেকার থাকায় ঋণে জর্জরিত অনেকে।
তবে বছরে দুবার ৮৭ দিনের নিষেধাজ্ঞা, বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে টিকে থাকতে এই আইনের সংশোধন আনতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন উপকূলের হাজার হাজার জেলে।
মৎস বিভাগ জানায়, নিষেধাজ্ঞার সময় যাতে অবৈধভাবে কেউ মাছ শিকার করতে না পারে, সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং মৎস্য বিভাগ যৌথভাবে কাজ করবে। কর্মহীন জেলেদের খাদ্যসহায়তা হিসেবে ৮৬ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে।
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী বলেন, নিবন্ধিত জেলের মধ্যে খাদ্যসহায়তা হিসেবে ৮৬ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে।