১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে রাষ্ট্র গঠন করে ইসরাইল। এরপর থেকেই একের পর ফিলিস্তিনের জায়গা দখল করতে থাকে ইহুদিরা। প্রায় সাত লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্ত্যুচুত ও ৫০০টির বেশি গ্রাম ধ্বংস করে তারা। ফিলিস্তিনের ভূমধ্যসাগরীয় পাড়ের শহর হাইফাতে বহু পুরনো ঘরবাড়ি ছিল। গত ৭৫ বছর ধরে সেগুলো ইসরাইলি সেটেলারদের দখলে। এর মধ্যে বেশিরভাগই বিক্রি করে দিয়েছে তারা। তবে শহরটিতে এখনো কিছু ঘরবাড়ি অবশিষ্ট রয়েছে, সেগুলোও বিক্রির পথে।

১৯৪৮ সালের ১৫ মে গোড়াপত্তন হয় ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের। একই বছরের এপ্রিল মাসে হাইফা শহরটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেই ইসরাইল। ইহুদিবাদী বাহিনী হাইফার ৯৫ শতাংশেরও বেশি বাসিন্দাকে বের করে দেয়। বর্তমানে সেসব জায়গা নিজেরা ব্যবহার করছে। আর কিছু বাণিজ্যিক ভবন ও পার্কিং লট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।

হাইফা নগর পরিকল্পনাবিদ এবং আন্দোলনকর্মী অরওয়া সুইতাত  সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন, ফিলিস্তিনি ভবনগুলো ধ্বংস করা হয়েছিল, সেই ধ্বংসাবশেষে ইসরাইলিরা বড় বড় সরকারি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

বর্তমানে হাইফা শহরে ২০ শতাংশের মতো ফিলিস্তিনি ভবন অবশিষ্ট রয়েছে। নকবা থেকে বেঁচে যাওয়া ফিলিস্তিনি ভবনগুলোর মালিকানা ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। যেসব ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু হয়েছিলেন, শরণার্থী হয়ে অন্যান্য দেশে চলে গিয়েছিলেন তাদের সম্পত্তি ইসরাইল দখল করে নেয়। তিনি বলেন, ২০০০ সাল থেকে অবশিষ্ট ফিলিস্তিনি ভবনগুলো সরকারি এবং বেসরকারি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কাছে বিক্রি করে আসছে।