র‌্যাবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা বেশ কয়েকটি চরমপন্থী সংগঠনের সক্রিয় তিন শতাধিক সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন। রোববার (২১ মে) দুপুরে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় র‍্যাব-১২ সদর দপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তারা।

সংসার, পরিবার-পরিজন ছেড়ে পালিয়ে না বেঁচে সুস্থ জীবনে ফিরতেই তাদের এই আত্মসমর্পণ। এক্ষেত্রে সরকার সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতেই সিরাজগঞ্জসহ ৭ জেলার বিভিন্ন চরমপন্থী দলের সদস্যরা অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। আর এক্ষেত্রে মূল উদ্যোগ নিয়েছে র‌্যাব। সাত জেলার এসব চরমপন্থীদের সাথে নানাভাবে যোগাযোগ স্থাপন করে র‌্যাব। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সুস্থ জীবনে ফিরতে আগ্রহী হন ৩১৫ জন। এর মধ্যে পাবনার ১৮০ জন, সিরাজগঞ্জের ১১, টাঙ্গাইলের ৭৪, রাজবাড়ীর ৫৪, মেহেরপুরের ২ এবং কুষ্টিয়া ও বগুড়ার ১ জন করে চরমপন্থী রয়েছেন।

রোববার সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২ এর কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তারা। আত্মসমর্পণকারীরা জানান, চরমপন্থী দলের সক্রিয় সদস্য থাকায় স্বজনদের বিপদ বা মৃত্যু সংবাদে কখনোই বাড়ি যেতে পারতেন না তারা। পরিবারের কাছে থাকতে না পারার এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে তারা আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে কর্মসংস্থানের অনুরোধও জানান তারা।

প্রিয়জনদের নতুন জীবন পাওয়ার খবরে আনন্দিত এসব চরমপন্থীদের পরিবারের সদস্যরাও।

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আত্মসমর্পণকারীদের মামলা পর্যালোচনা করে তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করা হবে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সরকার তাদের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।

এদিন বিভিন্ন চরমপন্থী দলের মোট ৩১৫ জন সদস্য ২১৯টি অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।