আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ (সোমবার) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। গতরাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে দাবি করে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নিজেদেরব্যর্থতা ঢাকতেই সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নিপীড়ন চালাচ্ছে। একদলীয় দুঃশাসনের এক শ্বাসরুদ্ধর অবস্থায় গণতন্ত্র এখন মৃতপ্রায়। প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা শূন্যের কাছাকাছি, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ফলে পরিবহন ভাড়াসহ জনজীবনে যে দুর্বিষহ অবস্থা বিরাজমান সেটি আড়াল করতেই সরকার আরও বেশি জুলুমের পথ বেছে নিয়েছে।

মানুষ প্রতিনিয়ত নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার বিএনপির জাতীয় নেতাসহ তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করতে এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকারের বিরুদ্ধে কোনো আওয়াজ উঠলেই তারা বেসামাল হয়ে পড়ে। ফলে দুঃশাসন আরও বেশি ভয়াবহ রূপ লাভ করেছে। গায়েবি মামলা, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার, শান্তিপূর্ণ যেকোনো কর্মসূচির ওপর বেপরোয়া গুলিবর্ষণ করে বিএনপির নেতাকর্মীকে হত্যা ও অঙ্গহানি করার এক দানবীয় নীতি বাস্তবায়ন করছে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, দলীয় চেতনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাজিয়ে ‘প্রাইভেট বাহিনী’র’ ন্যায় ব্যবহার করা হচ্ছে। এরা আইনশৃঙ্খলার কাজে লিপ্ত না থেকে বিএনপিসহ বিরোধী দলের কর্মসূচির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। সশস্ত্র দলীয় ক্যাডার এবং সাজানো পুলিশ প্রশাসন একযোগে নব্য নাৎসি বাহিনীর ন্যায় আচরণ করছে।

তিনি আরও বলেন, উপযুক্ত আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ব্যতিরেকে রফিকুল আলম মজনুকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া সম্পূর্ণরূপে উচ্চ আদালতের প্রতি অসম্মান জানানো। ক্ষমতাসীনরা আইন কানুনের কোনো তোয়াক্কা করে না। তারা রাষ্ট্রক্ষমতার জোরে একের পর এক বেআইনি কাজ করে সীমালঙ্ঘন করে যাচ্ছে।