করোনারভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আজ বুধবার সারাদেশে আবারও শুরু হচ্ছে টিকার তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজের কার্যক্রম। টিকা সংকটের কারণে গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি থেকে এই কার্যক্রম বন্ধ ছিল। অর্থাৎ প্রায় তিন মাস পর দেশের সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে স্থায়ী কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্রে দেওয়া শুরু হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৩০শে মে) কোভিড-১৯ ফাইজার ভ্যারিয়েন্ট কনটেইনিং ভ্যাকসিন (ভিসিভি) কার্যক্রম সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে দেওয়া এক নির্দেশনায় এসব তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় বলা হয়, ১৮ বছর বয়স থেকে ঊর্ধ্বে সব জনগোষ্ঠী এই টিকা নিতে পারবেন। ২য় ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের কমপক্ষে ৪ মাস পর তৃতীয় ডোজ (বুস্টার) ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে। তৃতীয় ডোজ প্রদানের কমপক্ষে ৪ মাস পর চতুর্থ ডোজ (বুস্টার) ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।

৪র্থ ডোজ (বুস্টার) ভ্যাকসিন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ৬০ বছর বা ঊর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত ১৮ বছরের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জনগোষ্ঠী (ইম্যুনোকম্প্রোমাইজ), গর্ভবতী মা এবং ফ্রন্ট লাইনারদের ভিসিডি ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।

টিকা গ্রহণ প্রসঙ্গে শ্যামলী ২৫০ বেড টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, তৃতীয় ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজের চার মাস পর নেওয়া যাবে। আর চতুর্থ ডোজ নিতে হলে এসএমএস’র অপেক্ষা করতে হবে। তৃতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস পর যদি এসএমএস না আসে তাহলে কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে।