অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধাদানকারী ব্যক্তিদের উপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সে দেশের ছয় আইনপ্রণেতার লেখা চিঠিতে ‘মিথ্যা তথ্য’ ও ‘গরমিল’ রয়েছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

চিঠি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এখানে কিছু তথ্যের গরমিল আছে। ভুল আছে, মিথ্যা আছে। যেমন একটি মিথ্যা হলো তারা বলছে যে, গত কয়েক বছরে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয়ে ৬০ শতাংশ হিন্দু বিদেশে পালিয়ে চলে গেছেন। এটা তো সত্য নয়। তারা বলছে খ্রিস্টানদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, এটা তো সত্য নয়। এগুলো আপনারা তুলে ধরেন, এটা আমার বলার দরকার নেই। তারা কোথায় চিঠি চালাচালি করেছে দ্যাট ইজ দেয়ার হেডেক, আমার নয়। চিঠিটা পড়ে মনে হয়েছে যে অপরিপক্ব হাতের লেখা। আমার তো এসব নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

২৫ মে লেখা ওই চিঠিতে ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনীকে নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “চিঠিটা মনে হয়েছে যে, একটা অপরিপক্ষ হাতে লেখা। আপনাদের এ বিষয়ে প্রশ্ন করা উচিৎ। আমার এসব বিষয়ে হেডেক নাই, আমার তো এসব নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নাই।”

‘মিথ্যা তথ্যের’ বিষয়ে চিঠিদাতাদের কাছে জানতে চাওয়ার জন্য সুধী সমাজ ও সাংবাদিকদের আহ্বান জানিয়ে মোমেন বলেন, “এগুলো আপনারা খুলে বলেন তাদেরকে, এটা আমার বলার দরকার নাই। তারা চিঠি চালাচালি কোথায় করছে, দ্যাট ইজ দেয়ার হেডেক, আমার না।

“তবে আপনারা যারা সুধীসমাজ, মিডিয়ার উচিৎ প্রশ্ন করা, এই রকম ভুল তথ্য দিয়ে কেমন করে চিঠি লেখে!”

সরকারের কোনো লবিস্ট এখন নেই জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের কোনো লবিস্ট-টবিস্ট নাই, আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছি।

“বরং যারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে, তাদের বলেন যেন আল্লাহর ওয়াস্তে দেশটারে ধ্বংস করার তালে থাকবেন না, আপনারা বরং দেশে আরও এনার্জি পাই কীভাবে, দেশে আরও কর্মসংস্থান হয় কীভাবে, বিনিয়োগ বাড়ে, সেজন্য লবিস্ট নিয়োগ করেন। তাহলে দেশের একটা মঙ্গল হবে।”

সরকার স্বচ্ছ নির্বাচনে বিশ্বাসী দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “শুধু সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন চাইলেই হবে না। আমরা চাইব, যত দল আছে, সবাই কমিটমেন্ট করবে, সিনসিয়ারলি প্রতিজ্ঞা করবে যে, তারাও অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে তারা সবাই এসে যোগদান করুক, তাহলেই হবে।”