পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ। রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা। শনিবার সকাল ৬টার পর আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়। এর পর নীলসাগর এক্সপ্রেস ঘরমুখো মানুষকে নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদযাত্রার প্রথম দিন যাত্রী কিছুটা কম থাকলেও কাল থেকে বাড়তে থাকবে চাপ।রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, আন্তঃনগর ট্রেনে প্রতিদিন প্রায় ২৮ হাজার যাত্রী কমলাপুর থেকে বিভিন্ন স্থানে যাবে। বিনাটিকিটে ভ্রমণ রোধে কমলাপুরসহ দেশের সব স্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ জানান, ঈদ উপলক্ষে মানুষ ট্রেনে রাজধানী ছাড়ছেন। ২৪ থেকে ২৮শে জুন প্রতিদিন ৪১ জোড়া আন্তঃনগর এবং ৩৬ জোড়া মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাবে।

১৪ জুন থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। রেলওয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ জুন দেওয়া হয় ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেওয়া হয় ২৫ জুনের, ১৬ জুন ২৬ জুনের, ১৭ জুন ২৭ জুনের এবং ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হয় ১৮ জুন।

২২ জুন থেকে ঈদযাত্রার ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হয়। সেই হিসাবে ২২ জুন দেওয়া হয় ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট দেওয়া হবে ফিরতি ট্রেনের টিকিট।

বিগত বছরের মতো এবারও ঈদযাত্রায় আসনবিহীন বা স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হবে মোট আসনের ২৫ শতাংশ। ঢাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর ও জয়দেবপুর স্টেশন থেকে এসব টিকিট পাওয়া যাবে। শুধু যাত্রা শুরুর দিন আসনবিহীন টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে কেনা যাবে।

ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শতভাগ অনলাইনে দেওয়া হলেও টিকিট বিক্রিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। অনলাইনে দুই ভাগে দেওয়া হয় অগ্রিম টিকিট। পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে পাওয়া যায় সকাল ৮টা থেকে। আর দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে বিক্রি হয় পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনের টিকিট।