চলতি বছরের কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত বছরের চেয়ে ৩ টাকা টাকা দাম বাড়িয়ে ঢাকায় গরুর চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা বর্গফুট এবং খাসির চামড়ার দাম ১৮ থেকে ২০ টাকা বর্গফুট এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা বর্গফুট নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোববার (২৫ জুন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ট্যানারি মালিক, ট্যারিফ কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এসময় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কারসাজির মাধ্যমে চামড়ার দাম কমানো হলে সরকার কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমোদন দেবে। চামড়ার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসন মনিটরিং করবে।
তিনি বলেন, চামড়ায় দেওয়ার জন্য লবণের চাহিদা এ সময় অনেক বেড়ে যায়। তাই অনেক ব্যবসায়ী লবণের দাম বাড়িয়ে দেন। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার মনিটরিং করবে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর তাপমাত্রাও অনেক বেশি। এ কারণে লবণ ছাড়া চামড়া সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই ব্যবসায়ীরা যেন সহজেই লবণ কিনতে পারেন, সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে শিল্প মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে। লবণের সংকট যেন না হয়, দামও যেন না বাড়ে; তা মনিটরিং করতে শিল্প মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত বছর ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৪৭ থেকে ৫২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সরকার। যা ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা ধরা হয়েছিল। এছাড়া খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ঢাকায় ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
দেশে চামড়া ব্যবসায়ীদের কাঁচা চামড়া সংগ্রহের প্রধান মৌসুম ঈদুল আজহা। এক দশক আগেও একটি গরুর চামড়া আকারভেদে ১ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করা যেত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সেই একই চামড়া ৫০০ টাকাতেও বিক্রি করতে পারছেন না মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। পানির দরে না বিক্রি করে তাই অসংখ্য চামড়া ফেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।