নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রাজধানীর বর্জ্য অপসারণ করেছে দুই সিটি করপোরেশন। ঈদের পরদিন নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কোথাও কোরবানির পশুর বর্জ্য চোখে পড়েনি। এজন্য নাগরিকরা ধন্যবাদ জানালেন দুই মেয়রকে। বললেন, এই প্রথম এমন চিত্র দেখলেন তারা।
গতকাল ঈদের দিনভার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এতে রাজধানীর মুসলমানরা কোরবানি দিতেও বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। কিছুটা দেরিতে শুরু করেছেন কোরবানি। এতে শঙ্কা ছিল সঠিক সময়ে বর্জ্য অপসারণ হবে তো? কিন্তু বৃষ্টি বাধায়ও চকম দেখিয়েছি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।
২১ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মীর নিরলস শ্রমে মাত্র ৮ ঘণ্টায় উত্তর আর ১১ ঘণ্টায় সব বর্জ্য অপসারণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। পরে সার্বিক বিষয়ে রাতে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে সহযোগিতার জন্য নগরবাসীকে ধন্যবাদও জানান দুই মেয়র।
এর আগে ঈদুল আজহার দিবাগত রাতের মধ্যেই বর্জ্যমুক্ত করা হবে ঢাকা, ভোরের আলো ফোটার আগেই নগরবাসী পাবেন বর্জ্যমুক্ত শহর, এমনই কথা দিয়েছিলেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নুর তাপস। দিনশেষে তারা সেই কথা রেখেছেন, চমকে দিয়েছেন নগরবাসীকে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব ওয়ার্ড থেকে কোরবানির পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, রাত দেড়টার দিকে সর্বশেষ ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণের মধ্যে দিয়ে প্রথম দিনের কোরবানির পশুর সব বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
এর আগে দুপুর ২টা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। অর্থাৎ সাড়ে ১১ ঘণ্টায় প্রথম দিনের কোরবানির পশুর সব বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়।
ঈদের দিন ঢাকায় বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় পশুর বর্জ্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায়। বেশকিছু এলাকায় বিপুল পরিমাণ বর্জ্য অপসারণ করতে আনা হয় ভারী যন্ত্রপাতি। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে অবশেষে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করতে পেরেছে দক্ষিণ সিটি।
তবে দক্ষিণ সিটির চেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে ছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। দুপুর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারকি করেন খোদ মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এরপর রাত ১০টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসি জানায়, নির্ধারিত ৮ ঘণ্টার মধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে শতভাগ বর্জ্য।
শহর পরিষ্কার করতে নিরলস শ্রম দেন প্রায় একুশ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী।