পবিত্র ঈদুল আজহায় যাতায়াতে দেশের সড়ক মহাসড়কে ২৭৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯৯ জন নিহত ও ৫৪৪ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সম্মিলিতভাবে ৩১২টি দুর্ঘটনায় জন ৩৪০ নিহত ও ৫৬৯ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির পর্যবেক্ষণে এ তথ্য উঠে এসেছে।
শনিবার (০৮ জুলাই) সকালে নগরীর বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ ২০২৩ প্রকাশকালে এই তথ্য তুলে ধরেন।
এ ছাড়া একই সময়ে রেলপথে ২৫টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন এবং নৌপথে ১০টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছে। অর্থাৎ সড়ক, রেল ও নৌপথ মিলিয়ে ৩৪০ জনের মৃত্যু হয়।
ঈদযাত্রা শুরুর দিন ২২ জুন থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিনে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সংগঠনটির প্রতিবেদনের তথ্যমতে, নিহতদের মধ্যে ৮২ জন চালক, নয়জন পরিবহন শ্রমিক, ৩৫ জন পথচারী, ৪৭ জন নারী, ২৫ জন শিশু, ১৭ জন শিক্ষার্থী, পাঁচজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, চারজন শিক্ষক, পাঁচজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী রয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করেছে সংগঠনটি।
সেগুলো হলো-
ঈদের ৩ দিন আগে থেকে জাতীয় মহাসড়কে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য।
মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের অবাধে চলাচল।
অতিরিক্ত গতি, মহাসড়কের নির্মান ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা।
উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন।
অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন।
দ্রুতগতির বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ধীরগতির পত্রবাহী ট্রাক পিকআপ চলাচল।
সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, সমাজকর্মী মোহাম্মদ মহসিন উপস্থিত ছিলেন।