জনস্বাস্থ্য খাতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য এসডিজি অর্জনে বৈশ্বিক অংশিদারিত্ব বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে জনস্বাস্থ্য ও কূটনীতি নিয়ে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকারি পদক্ষেপে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। তিনি ৫ দফা সুপারিশও তুলে ধরেন সম্মেলনে। বলেন, নানা সংকটের মধ্যেও আশ্রিত রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। তবে তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনই এই সংকটের টেকসই সমাধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন সরকার স্বাস্থ্য সেবাকে জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার কাজ করছে। সরকারের পরিকল্পিত ও সময়োপোযোগী পদক্ষেপের কারণেই দেশের শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে, বেড়েছে মানুষের গড় আয়ু। করোনা মোকাবেলায়ও বাংলাদেশ কৃতিত্ব দেখিয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবা বিশ্বমানের করতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। গত সাড়ে ১৪ বছরে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করি। আরও আড়াই হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে আমাদের স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। এতে গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আবারও ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালু করা হয়। সবমিলিয়ে সেসময় সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা শুরু হয়। বর্তমানে সেগুলো থেকে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সবার পাশাপাশি মানুষকে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
রোহিঙ্গারা দেশের জন্য মানবিক সংকট এবং নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ উল্লেখ করে তাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আশা করি শিগগিরই মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেবে। প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান।