দেশের থাইরয়েড হরমোনের সমস্যায় ভুগা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর মধ্যে থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতিজনিত সমস্যা বেশ প্রকট। থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতির বিষয়টিকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলা হয়। এ রোগ পুরুষদের তুলনায় নারীদের ১০ গুণ বেশি হয়ে থাকে।

থাইরয়েড হরমোন আমাদের বিপাকপ্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরের তাপমাত্রা, হৃৎস্পন্দন, পৌষ্টিক নালির অভ্যন্তরীণ পরিবহন, প্রজনন স্বাস্থ্য, মস্তিষ্কের গঠন, কোষের গঠন ও ক্ষয়পূরণে এই হরমোনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ কারণে হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত হলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়।

চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি এ রোগের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি।

আয়োডিনযুক্ত খাবার এই সমস্যায় বিশেষ উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে-

ডিম: ডিম আয়োডিনের একটি চমৎকার উৎস, একটি বড় ডিমে প্রায় ২৪ মাইক্রোগ্রাম বা দৈনিক চাহিদার ১৬% আয়োডিন সরবরাহ করে। এটি থাইরয়েডের সমস্যায় কার্যকরী খাবার। তাই এ ধরনের সমস্যা এড়াতে নিয়মিত ডিম খাওয়ার অভ্যাস করুন।

চিংড়ি: চিংড়ি সামুদ্রিক খাবার। এটি সমুদ্রের পানি থেকে আয়োডিন শোষণ করে আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার হয়ে ওঠে। চিংড়িতে উপকারী পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে। তাই অ্যালার্জি বা অন্যকোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা না থাকলে চিংড়ি রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়। এতে থাইরয়েডের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সহজ হবে।

পনির: পনির সহ দুগ্ধজাত সব খাবার কেবল ক্যালসিয়াম এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটেরই উৎস নয়, বরং এগুলো পর্যাপ্ত আয়োডিন সমৃদ্ধও। তাই থাইরয়েডসহ বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচতে নিয়মিত এ ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। সবচেয়ে ভালো হয় বাড়িতে তৈরি করা পনির খেতে পারলে।

দুধ: গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতি ২৫০ মিলি দুধে প্রায় ১৫০ মাইক্রোগ্রাম আয়োডিন থাকে। গরুকে আয়োডিন সমৃদ্ধ পশুখাদ্য এবং ঘাস খাওয়ার ফলে এর দুধে আয়োডিন স্থানান্তরিত হয়। তাই নিয়মিত গরুর দুধ খাওয়ার অভ্যাস করলে থাইরয়েডের সমস্যা দূরে থাকে।

টুনা মাছ: একটি ৬ আউন্স টুনায় প্রায় ৩৪ মাইক্রোগ্রাম আয়োডিন থাকে। সামুদ্রিক খাবার খেতে ভালোবাসলে আজই তালিকায় টুনা মাছ যোগ করে নিন। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনই উপকারী। আয়োডিন সমৃদ্ধ এই মাছ আপনাকে থাইরয়েডের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে।