সরকার গণঅভ্যুত্থানে ভয়ে নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে, ডিজিটাল শাটডাউনের মাধ্যমে মানুষের অধিকার হরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। ইন্টারনেট শাটডাউনসহ সব ধরনের ডিজিটাল নির্যাতনের প্রতিবাদে বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেছেন, বর্তমান এই সরকার ডিজিটালাইজেশনকে জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। ডিজিটাল মাধ্যমে নিপীড়ন, জনগণের ওপর নজরদারি, ফোনকল রেকর্ড, অনলাইনে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন, অনলাইনে নারীদের প্রতি সহিংসতাকে উস্কে দেওয়া, ভিন্ন মতাবলম্বীদের ব্ল্যাকমেইল করা, ভুল তথ্য, অপতথ্য ও বিকৃত তথ্য-কন্টেন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা চালানোসহ নানা অপরাধ করে চলেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, একদিকে এই অবৈধ সরকার কখনো স্মার্ট বাংলাদেশের নামে সকল রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নাগরিকদের সাইবার জগতের সকল ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। অন্যদিকে তাদেরই অযোগ্যতা এবং চরম অদক্ষতার দরুন প্রায় ৫ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত, স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে- যা বিদেশের একটি গণমাধ্যমের সূত্রে আমরা সবাই জানতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, নাগরিকদের সেবা প্রদান এবং তাদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য দেশে একাধিক প্রতিষ্ঠান আছে। তেমনি একটি প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলা এই প্রতিষ্ঠানটির কাজ হলো দেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পরিচালনা এবং সেবার মান দেখভাল করা। কিন্তু জনগণের টাকায় প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটিকে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার জনগণের বিরুদ্ধে নিপীড়নের আরেকটি আধুনিক হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে।