পদ্মা নদীতে এমভি পিনাক-ছয় লঞ্চ ডুবির মর্মান্তিক ঘটনার নয় বছরপূর্তি আজ। ২০১৪ সালের এ’দিন পদ্মা নদীতে আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় লঞ্চটি। সরকারি হিসেবে সেসময় ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ হয় অর্ধশতাধিক।পদ্মায় তলিয়ে যাওয়া লঞ্চটি চিহ্নিত করাও যায়নি। আলোচিত এই মামলার বিলম্ব ও সাক্ষী হাজির করতে না পারায় ক্ষোভ স্বজনদের। তবে, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এমন দুর্ঘটনা আর ঘটবে না বলে আশা দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দাদের।
মুন্সীগঞ্জের মাওয়ার কাছে ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট উত্তাল পদ্মায় ডুবে যায় অতিরিক্ত এমএল পিনাক-৬। ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। আজও নিখোঁজ রয়েছেন ৬৩ জন। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারেও চিহ্নিতই করা যায়নি লঞ্চ। এই নিয়ে লৌহজং থানায় মামলা হয়। তবে ৯ বছরেও বিচার সস্পন্ন করা যায়নি। এরই মধ্যে মারা গেছেন প্রধান আসামী লঞ্চটির মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক কালু।
২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৬ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। পলাতক চার আসামির পরোয়ানা এখনো তামিল হয়নি। বিচারের জন্য ১৩ বার দিন ধার্য হলেও বাদী তৎকালীন বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিতে আসেননি। এ ছাড়া মামলার ৩০ স্বাক্ষীর কেউই সাক্ষ্য দেননি। স্বাক্ষীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানাও কার্যকর হয়নি।
দীর্ঘদিনেও বিচার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। কালকিনি উপজেলার পশ্চিম কমলাপুরের সবুজ কাজী বলেন, দুর্ঘটনায় পরিবারের চার সদস্যকে হারিয়েছি। মামলা হয়েছে, কিন্তু বিচারের কোন খবর নেই। জানিনা কবে মামলার রায় পাবো।
পদ্মা সেতু চালু পরই মাওয়া তথা শিমুলিয়া থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ। ৮৭ লঞ্চের ৮০টিই বিক্রি হয়ে গেছে। কিন্তু দক্ষিণের মানুষ পিনাকের ক্ষত ভুলতে পারেনি আজও।