ভারপ্রাপ্ত নেতাদের ভারমুক্ত করে দিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকরা ভারমুক্ত, অর্থাৎ পূর্ণ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক হিসেবে গণ্য হবেন। অবশ্য কোন পর্যায়ের নেতারা এর আওতায় পড়বেন তা আওয়ামী লীগ সভাপতি স্পষ্ট করে বলেননি। তিনি বলেন, আজ থেকে সব ভারমুক্ত।

রোববার (৬ আগস্ট) রাতে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতারা এই আওতায় পড়বেন বলে জানান তিনি।

বর্ধিত সভা সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাসের এক আবেদনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতির তরফ থেকে এ ঘোষণা এসেছে।

বিশেষ সভার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বক্তব্য রাখেন কানাই লাল বিশ্বাস। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে দলীয় সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে কানাই লাল বলেন, ‘হাকিম সাহেবের (এম এ হাকিম হাওলাদার) মৃত্যুর পরে আমি ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি হয়েছি। দয়া করে ভারমুক্ত করে দেন। এটা আমি আপনার প্রতি দাবি করছি। আপনার কাছে আজ এ দাবিটুকু করলাম।’

জবাবে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের ভারমুক্ত করে দিলাম। আজকের বৈঠকে সবার সম্মতিতে ভারমুক্ত করে দিলাম।’

বৈঠকে উপস্থিত স্থানীয় পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কানাই লালের পর ফ্লোর দেওয়া হয় বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাসকে। প্রধানমন্ত্রী তার নাম ঘোষণার সময় বলে ওঠেন, ‘এ-ও দেখছি ভারপ্রাপ্ত। ভারমুক্ত করে দিলাম। আজ থেকে কোনো ভারপ্রাপ্ত থাকবে না। সব ভারপ্রাপ্তরা ভারমুক্ত।’