অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পার্বত্য তিন জেলা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বান্দরবান ও রাঙামাটির পথঘাট ডুবে আছে। গতকাল থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে আছে মানুষ। চন্দনাইশে সড়কে বন্যার পানি ওঠায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-বান্দরবান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিকল্পপথে বাঁশখালী হয়ে কক্সবাজার যাচ্ছে কিছু যানবাহন।
চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা ও ভূমিধস মোকাবেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। কক্সবাজার ও রাঙামাটিতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আলাদা ঘটনায় তিন শিশুসহ ৭ জন নিহত হয়েছে।
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রাম নগরীর সড়কগুলো পানিতে ডুবে গেছে। বিভিন্ন উপজেলায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের চান্দনাইশের বাগিচা হাট থেকে দোহাজারি পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় সড়কের ওপর দিয়ে প্রবল স্রোতে পানি বয়ে যাচ্ছে।
বান্দরবানে অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ধসে একই পরিবারের মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। প্লাবিত হয়েছে হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বান্দরবান সদর, রুমা, আলীকদমসহ জেলার বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে।
রাঙামাটিতে ২৩৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ১৭শত ২৭ জন মানুষ। বিভিন্ন সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্যায় প্লাবিত জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলার নিুাঞ্চল। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের তীব্র স্রোতে সোমবার দুপুর থেকে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ রয়েছেন এক কিশোর। বিলাইছড়ি ও জুরাছড়ির নিুাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় ১২৪টি ঘর ও ৪টি বাজার তলিয়ে গেছে। কাপ্তাই চন্দ্রঘোনায় ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলা সদরসহ কাপ্তাই, নানিয়াচর, বাঘাইছড়ি, রাজস্থলী, কাউখালি সড়ক ও আশাপাশের এলাকায় ১৯৭টি স্পটে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।