ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় খড়মপুর কেল্লা শহিদের মাজারে আসা দুই ভক্ত ট্রেনে কাটা পড়ে এবং ট্রনে কাটা পড়া থেকে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা-সিলেট রেলপথের খড়মপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃতদের মধ্যে দুইজনের নামা জানা গেছে। এরা হলেন শুক্কুর মিয়া (৫৫) ও মোজাম্মেল (২০)। বাকি দুইজনের পরিচয় এখনও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তাদের একজনের বয়স আনুমানিক ৫৫ এবং আরেকজনের ৩৫ বছর।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, আখাউড়ার খরমপুরের প্রখ্যাত আউলিয়া শাহ্ ছৈয়দ আহাম্মদ গেছুদারাজ (রহ.) কেল্লা শহিদের মাজারে বাৎসরিক ওরস শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। সকাল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে লাখো ভক্ত-আশেকান মাজারে আগমন করেন।
ওরস উপলক্ষ্যে মাজারের পশ্চিম পাশে সিলেট-আখাউড়া রেললাইন ধরে হাজার হাজার ভক্ত-আশেকান রেলপথে ভিড় জমান। সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন রাত পৌনে ৯টার দিকে মাজারে পশ্চিম পাশে রেলপথ অতিক্রম করার সময় তিতাস সেতুতে থাকা শত শত ভক্ত ট্রেন দেখে ছোটাছুটি শুরু করেন। এ সময় দুই-তিনজন ভক্ত নদীতে ঝাঁপ দেন। আর দুইজন ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে আজ শুক্রবার সকালে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া ভক্তের মধ্যে একজন এবং দুপুরে আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা মুনিম সারোয়ার জানান, চারজনের মরদেহ রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কেউ নিখোঁজ আছে কিনা সেটি নিশ্চিত নয়। তবে নদীতে উদ্ধার অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।