এ বছর বিশ্বের ২০-২২টি দেশের নির্বাচন হবে। কিন্তু এর মধ্যে শুধু বাংলাদেশের ভোট নিয়ে বিদেশিরা বেশি মাতামাতি করছেন বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের এত মাথাব্যথা কেন সেটা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

আজ রোববার সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেছেন, “২০-২২টি দেশে এ বছর ইলেকশন হচ্ছে। কিন্তু কোথায় কারও কোনো কথা, কোথাও ইলেকশন নিয়ে বা অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনো কথা নেই।

“একুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ক্যানডিডেটকে মেরে ফেলেছে। এইসব নিয়ে তো কেউ কোনো কথা বলে না; বড় বড় দেশ, শক্তিগুলো। আমাদের দেশ নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন? কারণটা কী, আমরা তো বুঝি না।”

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কেন বাংলাদেশে, বাংলাদেশে কেন? আসল জায়গায় পারে না। ওই ওখানে কী করে, আমরা একটু দেখব। নাইজারে কী করে আমরা দেখব। জান্তা প্রধান বলে দিয়েছেন, তিন বছরে এসব কথাবার্তা বলে লাভ নেই। তিন বছর পরে। এখন আমরা দেখব আমাদের দেশ নিয়ে যারা এত কিছু করে, এত কথা বলে তারা নাইজারে কী করে, দেখব।’

বিএনপির যে মূল দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, এসব বিষয়ে বিদেশি কেউই কোনো কথা বলেনি জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন বিভিন্ন দেশের এ অঞ্চলকে ঘিরে জিওপলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজি আছে। সেখানে আমেরিকার একটা ইন্টারেস্ট আছে, ভারতেরও আছে, ওদিকে চীন আছে।’

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ওয়াশিংটনকে নয়া দিল্লির বার্তা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত আমেরিকাকে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতামত জানিয়েছে। আমাদেরকে কখনো বলেনি যে, তোমরা এই করো, সেই করো, তত্ত্বাবধায়ক করো, তারপরে নির্বাচন পদ্ধতি, প্রধানমন্ত্রী রিজাইন করুক, এসব কথা আমেরিকাও বলেনি। এ যাবত যে তিনটা, চারটা বিষয়ের ওপর বিএনপির দাবি, একটি হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, আরেকটি হলো সংসদ বিলুপ্ত এবং নির্বাচন কমিশন, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কেউই এগুলো বলেনি।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি যেসব দাবিতে গো ধরে আছে সেসব দাবি নিয়ে আমেরিকার কোনো মাথাব্যথা নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারতও এ বিষয়ে কিছু বলেনি। আমি আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেছেন, এসব বিষয়ে তাদের কোনো কথা নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেনি যে, তত্ত্বাবধায়কের দরকার আছে। তাদের দেশে এটি নেই, দুনিয়ার কোথাও নেই।’