ব্রিকসে নতুন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে চীন বাংলাদেশের পাশেই থাকবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ৷ দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ সময় বুধবার (২৩ আগস্ট) রাত ১০টার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘণ্টাব্যাপী  দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। এরপর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ড. মোমেন।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই নেতার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অত্যন্ত সফল হয়েছে। উৎসাহব্যঞ্জক আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে। বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্রিকসে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির ইস্যুতে চীন বাংলাদেশকেই সমর্থন দেবে বলে কথা দিয়েছেন দেশটির প্রসিডেন্ট শি জিনপিং।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর রেললিংক উদ্বোধনে শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে দাওয়াত দিয়েছেন। জিনপিং তা গ্রহণ করেছেন। তবে সময় নির্ধারণ করবেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্রিকসে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির ইস্যুতে চীন বাংলাদেশকেই সমর্থন দেবে বলে কথা দিয়েছেন দেশটির প্রসিডেন্ট শি জিনপিং।

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ছবি।

বৈঠকের কথা তুলে ডক্টর মোমেন আরও বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবসময় চীনের সহায়তা থাকবে। চীনও চায় এই অঞ্চলে যাতে শান্তি-স্থিতিশীলতা নষ্ট না হয়। তিনি আরও বলেন, সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে সবসময়ই থাকবে চীন।

ওয়ান চায়না নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে সবসময়ই থাকবে চীন৷ বাংলাদেশের উন্নয়নগুলো যাতে চলমান থাকে, সেটাই চাওয়া চীনের৷ চীন মনে করে বাংলাদেশ তাদের কৌশলগত অংশীদার৷
 
ড. মোমেন বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অবকাঠামো উন্নয়নসহ প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট করার বিষয়েও আগ্রহ দেখিয়েছেন চীনা রাষ্ট্রপ্রধান৷