চুয়াডাঙ্গা শহরের ফার্মপাড়া এলাকার ইজিবাইক চালক জহুরুল ইসলাম হত্যায় মামলায় তিনজনের ফাঁসি, একজনের দুই বছর কারাদণ্ড এবং দুইজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন যশোরের চাচড়ার ফজলুর রহমান, ঠাকুরগাঁও জেলার মাধবপুরের দীপক কুমার রায়  এবং গোপালগঞ্জ জেলার গাড়ইগাত গ্রামের আবু সুফিয়ান। এদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন পিরোজপুর জেলার সেউতিবাড়িয়া গ্রামের জয়নাল হাওলাদার ।

এছাড়া, চুয়াডাঙ্গার ফার্মপাড়ার মিলন ও দামুড়হুদার জয়রামপুরের আনোয়ার হোসেনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১০ আগস্ট বিকেলে দামুড়হুদার পরানপুর মাঠের একটি বেগুন ক্ষেত থেকে ইজিবাইকচালক জহুরুল ইসলামকে গলা কেটে হত্যার পরে তার ইজিবাইকটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। মামলাটির গভীর তদন্ত শেষে একই বছর ৩০ নভেম্বর ৬ জনকে আসামি করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) আরিফুর রহমান। পরে ৯ জনের সাক্ষী গ্রহণ শেষে আজ দুপুরে ওই রায় দেন বিচারক। এর মধ্যে ফজলুর রহমান পলাতক আছেন। মামলার আরেক পলাতক আসামি পিরোজপুর জেলার সেউতিবাড়ীয়া গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলী হাওলাদারের ছেলে জয়নাল হাওলাদারকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া এ মামলায় অন্য দুই অভিযুক্ত চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার ইয়ামিন আলীর ছেলে মোহাম্মদ দিলন ও দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি গিয়াস উদ্দিন বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ফজলে রাব্বি সাগর বলেন, এ রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।