মেহেদি হাসান মিরাজের পর নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরি। মিরাজ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১১৫ বলে। শান্ত তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন ১০১ বলে। তার সেঞ্চুরির ইনিংসটি ৯টি চার আর দুটি ছক্কায় সাজানো। সেঞ্চুরির পর খুব বেশিক্ষণ টিকলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪৫তম ওভারে রান আউট হয়ে ফিরলেন এই বাঁহাতি। ১০৫ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১০৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।

মিডল অর্ডার থেকে ওপেনিংয়ে নেমে বাজিমাত করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শুরুতে বিপর্যয় সামাল দিয়েছেন।পরে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে গড়েছেন দারুণ এক জুটি। এরপর দুজনেই পেয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা।

এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৫ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। তাই আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি এখন বাঁচা-মরার লড়াই। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে কঠিন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে টাইগাররা। দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটিতে আসে ৬০ রান।

কিন্তু প্রথম পাওয়ার প্লের শেষ বলে ছন্দপতন হয় নাঈম শেখের। মুজিব উর রহমানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩২ বলে ৫ চারে ২৮ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার নাঈম। পরের ওভারেই তিনে নামা তাওহিদ হৃদয় রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন সাজঘরে। গুলবাদিন নায়িবের বলে স্লিপে ইব্রাহীম জাদরানকে ক্যাচ দেন তিনি।

হৃদয় বিদায় নেওয়ার পর হাল ধরেন মিরাজ ও শান্ত। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে তারা রানের চাকা সচল রাখেন। দেখেশুনে খেললেও মাঝে মাঝেই হাত খুলতে দেখা যায় তাদের। শতরানের জুটি গড়ার পথে মিরাজ ফিফটির দেখা পান আগে। যা আবার তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে ফিফটি। অন্যদিকে শান্ত শুরু থেকে শান্তভাবে ব্যাট করলেও মিরাজের মতোই হাত খুলতে শুরু করেন তিনিও। ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটিও তুলে নেন তিনি।

মিরাজ-শান্ত ফিফটি তুলে নিয়েই থামেননি। দারুণ জুটিতে দলকে ২০০ পার করেন তারা। এরপর ১১৫ বলের মোকাবিলায় দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ। সেঞ্চুরির পর হাত খুলতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু ৪৩তম ওভারে আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের বলে ছক্কা হাঁকানোর পর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন মিরাজ। তার জায়গায় আসেন মুশফিকুর রহিম। দুই বল পরেই তিন অংক স্পর্শ করেন শান্ত, ১০১ বলে। এই বাঁহাতি ব্যাটারের এটি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি।