বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেরাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাশে চান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এই সংকট শুধু বিএনপির বিষয় নয়। এটা আজকে সমগ্র বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা। এর চেয়ে বড় সংকট আগে কখনও আসেনি। আমি কথা বলতে পারবো না, আমি বিচার পাবো না, আমি সিকিউরিটি পাবো না, আমি স্বাস্থ্যসেবা পাবো না, আমি শিক্ষা পাবো না, এটা হতে পারে না।’
রোববার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে রোহিঙ্গা সংকট ও প্রত্যাবাসন কৌশল নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ তাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে লড়াই করছে। এই সরকারকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন করা বিএনপির চ্যালেঞ্জ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নাশকতার অভিযোগে আজ বিএনপির ৪০ লাখ নেতাকর্মী আসামি, এখানে আদালত বলতে কিছু নেই, প্রশাসন আছে সেটি তাদের। নাশকতার অভিযোগে বিএনপির সমস্ত সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে মামলা চলছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের আন্তর্জাতিক ফোরামের সামনে দাঁড়ানোর শক্তি নেই। তারা ব্যর্থ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবার বিষয়ে চাপ তৈরি করতে। প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে প্রতিবেশী দেশে যায়নি কথা বলার জন্য। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বর্তমান বিশ্বে চলা বড় মানবিক ও রাজনৈতিক সংকট। বিএনপি চায় প্রত্যেক রোহিঙ্গা নিরাপদে সম্মান ও সমঅধিকার নিয়ে মিয়ানমারে ফিরে যাবে। বিএনপি এই সংকটের গ্রহণযোগ্য ও টেকসই সমাধান চায়।
বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।