ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙা পর্যন্ত রেল লাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এবার ট্রেন চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দেয়ার পালা। আগামী বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলকভাবে কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন যাবে ভাঙ্গা পর্যন্ত। সব ঠিক থাকলে আগামী মাসেই উদ্বোধন করা হবে এ পথের বাণিজ্যিক ট্রেন যাত্রা।
এদিন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৮২ কিলোমিটার নতুন ব্রডগেজ রেলপথে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা স্টেশনে যাবে ট্রেনটি। এরপর ১০ অক্টোবর এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুরো প্রকল্পে নির্মাণ হতে যাওয়া ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথের দৈর্ঘ্য ১৭২ কিলোমিটার। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরের শেষ দিকে নিয়মিতই পদ্মা সেতু পাড়ি দেবে ট্রেন।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট ঢাকা-মাওয়া রেল চলাচলের জন্য প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক ট্র্যাক কার চালু হয়। ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ জামিউল ইসলামসহ চীনা বিশেষজ্ঞ ও দেশীয় দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা ট্র্যাকে করে পর্যবেক্ষণ করেন। ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন তারা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সাতটি বগি দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি চালানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলক যাত্রায় রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম, পদ্মার দুইপাড়ের সংসদ সদস্যরা, রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যাবেন।
গত রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প আগামী ১০ অক্টোবর উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী তারিখ দিয়েছেন। এর আগে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে একটি ট্রেন চালানো হবে।
যাত্রীবাহী রেল চলাচল শুরুর আগের প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ বলছে, সড়ক পথে পদ্মা সেতু যে চালু হয়েছে, সড়ক পথের সুবিধার পর এখন রেলপথ চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং এখানকার উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতসহ সব ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে।