বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মানুষ জেগে উঠেছে, পদত্যাগ না করলে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুরের গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপি কার্যালয়ে সামনে থেকে শুরু হওয়া দলের পূর্বঘোষিত ‘তারুণ্যের রোড মার্চ’ কর্মসূচির উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি। এসময় আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঢাকার বাইরে বিএনপির যে রোডমার্চ কর্মসূচি শুরু হয়েছে, তা শেষ হবে সরকার পতনের মধ্য দিয়ে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা বারবার শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি।
আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে জনগণ ভোট দিতে পারে না, ভোট চুরি হয়ে যায়, ডাকাতি হয়ে যায়, সেই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যায় না। তাই শুধু বিএনপি নয়, দেশের সব রাজনৈতিক দল বলেছে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে মহাসচিব বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া প্রয়োজন। নিজেরা বারবার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করালেও বেগম খালেদা জিয়াকে যেতে দিচ্ছে না এই সরকার।
তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যদি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনে যেতে পারি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে নির্বাচন-পরবর্তী সময় আন্দোলনকারী দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।
নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সারাদেশের তরুণ সমাজ জেগে উঠেছে। এই সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরে যাব না।
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে রংপুর-দিনাজপুর তারুণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচি রংপুর নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত রোডমার্চ দিনাজপুরে গিয়ে শেষ হবে।