সাইফার বা গোপন তারবার্তার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের আরও ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ফলে আগামী ১০ আক্টোবর পর্যন্ত রিমান্ডে থাকছেন এ নেতারা। একই সময় পর্যন্ত দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশির রিমান্ডও বেড়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। শুনানির সময় আদালতে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিসহ (এফআইএ) পিটিআইয়ের আইনজীবী সালমান সাফদার, লতিফ খোসা, উমার নিয়াজি এবং নাইম পানজুথা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া শুনানি চলাকালে পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান কোরেইশিকে আদালতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে হাজির করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ইসলামাবাদের জেলা বিচারিক আদালত তোশাখানা মামলায় ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর থেকে অ্যাটক কারাগারেই আছেন ইমরান। গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (এএইচসি) এই সাজা স্থগিত করেন। কিন্তু অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে রিমান্ডে থাকায় তিনি কারাগার থেকে বের হতে পারছেন না।

অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে ইমরানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) যে অভিযোগ দায়ের করেছে, তাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের পাঠানো একটি গোপনীয় বার্তার বিষয়বস্তু তিনি জনসমক্ষে ফাঁস করে দিয়েছেন। এ ছাড়া এটিকে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ব্যবহার করেছেন।

সাইফার মামলা একটি কূটনৈতিক বার্তা সম্পর্কিত, যা ইমরানের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে বলে জানা যায়। পিটিআই অভিযোগ করে বলেছে, হারিয়ে যাওয়া এই বার্তাটিতে যুক্তরাষ্ট্র ইমরানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। এই মামলায় পিটিআইর ভাইস চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেইশিকেও গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।