বিএনপি সাথে আর কোনো সমঝোতা নয় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা হলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর মোড়ে ঢাকার প্রবেশপথে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। বাড়াবাড়ি করলে জনগণই বিএনপিকে অচল করে দেবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এই উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। কাঁচপুর সেতুর কাছে বালুর মাঠে এই সমাবেশে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে জড়ো হন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। সমাবেশ স্থল সহ গোটা এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

এসময় আওয়ামী লীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, দেশ ও সরকার বিরোধী সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের সব আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন তারা।

সমাবেশের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই সেলফিতে বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ভারতে এক সেলফি এরপর নিউইয়র্কে আরেক সেলফি। কই অক্টোবর পার হয়ে যাচ্ছে—ফখরুল নাকি ঢাকা অবরোধ করবে।

নারায়ণগঞ্জের এই সমাবেশ থেকে বলতে চাই, জনগণ তাদের জবাব দেবে। আগুন নিয়ে এলে হাত পুড়িয়ে দেব, লাঠি নিয়ে এলে হাত ভেঙে দেব।

তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের কী জানে? তারা জানে শুধু মানুষ খুন, লুটপাট আর ভোটচুরি। তাদের হাতে বাংলাদেশের মানুষ আর ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবে না। বিএনপি থেকে সাবধান।

কাদের বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে গেল, মেট্রোরেল হয়ে গেল। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে গেল। একদিনে এক শ’ সেতুর উদ্বোধন হয়ে গেল। এসব দেখে বিএনপির এখন শুধু জ্বালা আর জ্বালা, অন্তরে জ্বালা। বিএনপি তাদের আমলে শুধু খাম্বা দিয়েছে, বিদ্যুৎ দেয়নি। এখন শেখ হাসিনার আমলে শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল প্রমুখ।