বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মহাযুদ্ধের লড়াইয়ে সহজ জয় পেয়েছে ভারত। আহমেদাবাদে বোলারদের দাপটের পর, রোহিত শর্মার ঝড়ো ব্যাটিং ও শ্রেয়াস আইয়ারের হাফ সেঞ্চুরিতে স্বাগতিক ভারত ৭ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। এর আগে সাতবারের দেখায়ও ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। অষ্টমবারও একই পরিণতি হলো।
এ নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে টানা তৃতীয় ম্যাচে জিতলো রোহিত শর্মার দল, উঠে গেলো পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর পাকিস্তান পেলো হারের স্বাদ।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ১৯১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। রোহিত শর্মার খুনে ইনিংসে যা ১১৭ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় ভারত। সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোনো চাপ ছাড়াই ব্যাটিং করে স্বাগতিকরা। এক প্রান্ত থেকে চার-ছক্কার পশরা সাজিয়ে বসেন রোহিত। একে একে ছাতুপেটা করেন পাকিস্তানি বোলারদের। শাহিন আফ্রিদির বলে আউট হওয়ার আগে ৬৩ বলে ৬ টি করে চার ও ছক্কায় ৮৬ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক। তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৩০০ ছক্কার মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
রোহিতকে ভালো সঙ্গে দেন শ্রেয়াস আইয়ার। দুজনে মিলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন তৃতীয় উইকেটে। রোহিত থেমে গেলেও আইয়ার অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে। এছাড়া শুভমান গিল ও বিরাট কোহলি দুজনেই ভালো শুরু পেয়ে আউট হন ১৯ রানে। ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন লোকেশ রাহুল।
ক্রিকেটের এই মহাযুদ্ধে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হলেও, সেটা তারা বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি। দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হক সতর্কতার সাথে শুরু করেন। এই জুটি ভাঙ্গেন সিরাজ। এরপর বাবর আজম ও রিজওয়ান স্বাগতিক বোলারদের বিরুদ্ধে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে রানের চাকা সচল রাখে। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া বাবরকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান সিরাজ।
পাকিস্তানের সংগ্রহ যখন ৪ উইকেটে ১৬২ তখন থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ যেতে থাকে ভারতীয় বোলারদের কাছে। হার্দিক পান্ডিয়া, জাসপ্রিত বুমরাহদের গতির আগুনে পুড়ে ছারখার হতে থাকে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন। সাথে ছিলো কুলদীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজার স্পিনের মায়াজাল। পাকিস্তানের মিডল অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানসহ মোট ৬ জনই দু’অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। ভালো শুরুর পরও, পাকিস্তানের রানের লাগাম টেনে ধরেন ভারতীয় বোলাররা। ফলে ১৯১ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।