যুক্তরাষ্ট্রের মেইন অঙ্গরাজ্যের লিউইস্টনে একাধিক স্থানে বন্দুক হামলায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৫শে অক্টোবর) রাতে হামলার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
এতে বলা হয়, হামলাকারী পলাতক রয়েছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তারা এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন। মেইন শহরের দুটি স্থানে যে ব্যক্তি গুলি চালিয়েছে তাকে খুঁজছে পুলিশ।
হামলার পর শেরিফের অফিস থেকে সব ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। অফিসটি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীর হাতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যাসাল্ট-রাইফেল দেখা গেছে।
এছাড়া মেইন স্টেট পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুক হামলার ঘটনায় জড়িত একজনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তবে হামলাকারীকে আটক করতে না পারায় ফের হামলার আশঙ্কা রয়েছে।
ঘটনার পরপরই লুইস্টনের বাসিন্দাদের নিজ নিজ অবস্থানে থাকতে বলেছে পুলিশ। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
লুইস্টন পুলিশ জানিয়েছে, তারা স্কিমেঞ্জিজ বার ও গ্রিল এবং স্পেয়ারটাইম রিক্রিয়েশন নামে একটি বিনোদনকেন্দ্রে গোলাগুলির খবর পেয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করা এক পোস্টে লুইস্টন পুলিশ বলেছে, ‘যাদের জরুরি সহায়তা ও চিকিৎসা প্রয়োজন তাদের নিরাপদে হাসপাতালে নেওয়া পথ খালি রাখতে দয়া করে রাস্তা থেকে দূরে থাকুন।’
পুলিশ সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত ছবিগুলোতে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে রাইফেল হাতে গুলি করতে দেখা গেছে। তার পরিচয় জানতে জনসাধারণের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
লুইস্টনের মেয়র কার্ল শেলিন বলেছেন ঘটনাটি ‘আমাদের শহর এবং আমাদের জনগণের জন্য হৃদয়বিদারক’। তিনি বলেন, ‘লুইস্টন আমাদের শক্তি এবং দৃঢ়তার জন্য পরিচিত এবং আগামী দিনে আমাদের উভয়েরই প্রয়োজন হবে।
বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনার নিরাপত্তা এবং আপনার চারপাশের লোকদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’