বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে আজ শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। একই দিন নেতাকর্মীদের মুক্তি ও কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে মহাসমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামী। এছাড়া বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা প্রায় ৩৭টি দলও সমাবেশ করবে ঢাকায়। এদিকে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ।

ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের এসব সমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থাকবে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের তৎপরতা। ফলে সকাল থেকেই ঢাকা হয়ে উঠছে মিছিল ও সমাবেশের নগরী।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী পুরো ঢাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে মাঠে রয়েছে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের ২০ হাজার সদস্য। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরাও।

গত দুইদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ও ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে চলছে পুলিশ-র‌্যাবের চেকপোস্ট। সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না পুলিশ। এরই মধ্যে ডিএমপির সব কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা যায়, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ছাড়াই দুই দলের সমাবেশ যাতে শেষ হয় সে জন্য কাজ করছে পুলিশ। বাহিনীর ১৩ হাজার সদস্য মাঠে রয়েছেন। পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকে কাজ করছে গোয়েন্দা সদস্যরা।
এদিকে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের উদ্দেশে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে মঞ্চ প্রস্তুত করছে আওয়ামী লীগ। আশপাশের অনেক নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত আছেন। মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে দুপুর ২টায়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চে শুরু হয়েছে তাদের কর্মসূচির কার্যক্রম। রাত থেকেই অনেক নেতাকর্মী কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলেও ভোর থেকে বড় বড় মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দুপুর ২টায় মহাসমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও ইতোমধ্যে কাকরাইল থেকে নটরডেম মোড় পর্যন্ত দুপাশের রাস্তায় হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।