যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন সিনেটরদের কাছে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি তুলে ধরেছেন দেশটিতে নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই মার্কিন সিনেটরের সঙ্গে সাক্ষাত করেন রাষ্ট্রদূত। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার জন্য দূতাবাসের ‘আউটরিচ প্রোগ্রামের’ অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূত তাদের সঙ্গে এ বৈঠক করেন।

রাষ্ট্রদূত ইমরান সিনেটর জেফ মার্কলে এবং সিনেটর বিল হ্যাগের্টির সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে তাদের নিজ নিজ কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন। ওই দুই সিনেটর বৈদেশিক সম্পর্ক সংক্রান্ত মর্কিন সিনেট কমিটির সদস্য।

ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার এজেডএম সাজ্জাদ হোসেনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্জিত ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে এই দুই মার্কিন সিনেটরকে অবহিত করেন। তিনি এই সময়ের মধ্যে মানব সম্পদ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সমতাসহ সকল সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পর্কেও তাদের অবহিত করেন।

দুই মার্কিন সিনেটর বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরো সম্প্রসারণে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।

তারা ১৪ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন এবং তাদের জন্য অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন। রাষ্ট্রদূত ইমরান রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।সিনেটর মার্কলে ওরেগন ন্যাশনাল গার্ড এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে স্টেট পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে তার অঙ্গরাজ্যের বিশেষ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি আশা করেন, ভবিষ্যত সহযোগিতার মাধ্যমে দুদেশের সম্পর্ক আরো সুসংহত হবে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠককালে জাপানে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত সিনেটর হ্যাগের্টির বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন।