জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস আজ।  দেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দিবসটি। স্বেচ্ছায় রক্তদান ও চক্ষুদানে মানুষকে উৎসাহিত করতে প্রতি বছর নভেম্বরের ২  দিবসটি পালিত হয়।

এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ও সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির যৌথ উদ্যোগে দেশব্যাপী দিবসটি দেশব্যাপী পালিত হবে।

বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান আন্দোলনের পথিকৃৎ ‘সন্ধানী’। রক্তদানের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি মানুষের চক্ষু ব্যাংক হিসেবেও কাজ করে থাকে। মৃত্যুর আগে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত চক্ষুদানের বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করে থাকে সন্ধানী, যাতে ভবিষ্যতে কেউ ব্যবহার করতে পারেন সেই চোখ।

বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৮-৯ লাখ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয় আর সংগৃহীত হয় ৬-৬ দশমিক ৫ লাখ ব্যাগ রক্ত। বছরে প্রায় তিন লাখ ব্যাগ রক্তের ঘাটতি থাকে। সংগৃহীত রক্তের ৩০-৩৫ শতাংশ আসে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের থেকে।

১৯৭৮ সালের ২ নভেম্বর ডিএমসিএইচ ব্লাড ব্যাংকে সন্ধানী প্রথমবারের মতো স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে। পরবর্তীতে এই দিনটিকেই ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ হিসেবে পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।