নরসিংদীতে এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার দুপুরে কারখানাটির উদ্বোধন করেন তিনি। পরে বিকেলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ জন্য চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। দীর্ঘদিন পর বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বরণ করার সুযোগ পাওয়ায় আনন্দিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ।
বিকেলে মোছলেহ উদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের অপেক্ষায় উচ্ছ্বসিত জেলাবাসী। কাছ থেকে নেত্রীকে এক নজর দেখার আনন্দে ভাসছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রীরকে বরণ করে নিতে ইতোমধ্যেই মঞ্চ তৈরি, তোরণ নির্মাণসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘদিন পর নেত্রীকে সরাসসি দেখার আনন্দ নিয়ে অপেক্ষায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীসহ পুরো নরসিংদীবাসী। প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় ব্যপক প্রস্তুতি নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। সফরকে ঘিরে রয়েছে নানা পরিকল্পনা।
জানা গেছে, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশ-বান্ধব এ সার কারখানাটিতে বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার টন সার উৎপাদন হবে। এর মাধ্যমে ইউরিয়া সার আমদানিতে বছরে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বাংলাদেশের।
কারখানার উদ্বোধন উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা জানান, দেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা বছরে ২৬ লাখ টন। স্থানীয় কারখানা থেকে সার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১০ লাখ টন। বাকিটা আমদানি করতে হয়। ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে সার উৎপাদন অনেক বাড়বে। এতে বিদেশ থেকে সার আমদানিতে যে টাকা ব্যয় হয়, সেখান থেকে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
তিনি আরও বলেন, কারখানাটি জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব। দেশে খাদ্য উৎপাদনে ইউরিয়া সারের চাহিদা বেশি থাকায় খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে এ সার কারখানা। পলাশ ও ঘোড়াশালের পুরনো দুটি কারখানায় যে পরিমাণ গ্যাস লাগত, একই পরিমাণ গ্যাস দিয়ে নতুন কারখানায় আগের দুটি কারখানার চেয়ে বেশি ইউরিয়া উৎপাদন করা যাবে।
উল্লেখ্য, এ সার কারখানা প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার ৯২০ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ, যা পরিশোধ করতে ১০ বছর সময় লাগবে। ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানাটিতে দৈনিক ২ হাজার ৮০০ টন সার উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।