যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সোমবার তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যানকে বরখাস্ত করেছেন। তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে জেমন ক্লিভারলিকে। সুয়েলা ব্রাভারম্যানকে বরখাস্তের কারণ এখনো জানা যায়নি। খবর দ্য সান ও গার্ডিয়ানের
২০১০ থেকে ২০১৬ সাল নাগাদ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ক্যামেরন। তিনি পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্য নন। এ কারণে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অফ লর্ডসে লাইফ পিরেজ দিয়ে তাকে এ পদে আসীন করা হয়।
গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভকারীদের প্রতি লন্ডন পুলিশের পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ করে ব্যাপক সমালোচনায় পড়েন সদ্য বরখাস্তকৃত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাভারম্যান।
দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কিত ভূমিকায় ছিলেন ব্রাভারম্যান। আচরণবিধির গুরুতর লঙ্ঘনের কারণে ঋষি সুনাকের পূর্বসূরি লিজ ট্রাসের মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
লন্ডনে ফিলিস্তিনের পক্ষে জমায়েতগুলোকে বারবার ‘ঘৃণার জমায়েত’ হিসেবে আখ্যা দেন ব্রাভারম্যান।
সমালোচকরা বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ নিয়ে ব্র্যাভারম্যানের অবস্থান চলমান উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে এবং ডানপন্থি বিক্ষোভকারীদের লন্ডনের রাস্তায় নামতে উৎসাহিত করেছে। মূলত এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চাপে পড়েন সুনাক।
উল্লেখ্য, ইসরাইল–হামাস সংঘাত নিয়ে শনিবার (১১ নভ্ম্বের) লন্ডনের রাস্তায় ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ। কিন্তু সেখানে ডানপন্থি বিক্ষোভকারীরা অতর্কিত হামলা চালানোয়, শতাধিক বিক্ষোভকারীকে (ডানপন্থি) গ্রেফতার করে লন্ডন পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের থামাতে অপর একদল বিক্ষোভকারী মিছিলে অতর্কিত হামলা চালানোয় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পরে এ হামলার নিন্দা জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান ফিলিস্তিনিদের পক্ষে লাখো জনতার এ বিক্ষোভ সমাবেশকে আখ্যায়িত করেন ‘ঘৃণা সমাবেশ’ হিসেবে। এমনকি ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ বন্ধ করে দিতে লন্ডন পুলিশকে অনুরোধও জানিয়েছিলেন তিনি।