ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’ উপকূলের কাছাকাছি চলে আসায় চট্টগ্রাম বন্দর পণ্য ওঠানামা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির আশংকায় চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব সংকেত এলার্ট ৩ জারি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের সচিব মো: ওমর ফারুক জানান, লাইটার জাহাজ গুলোকে নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ২২ টি বড় জাহাজকে গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলা’-এর প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম বন্দরে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে পণ্য ওঠা নামা।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার উপজেলাসমূহে গত বৃহস্পতিবার থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকেই চট্টগ্রামের আকাশ পুরোপুরি মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। সূর্যের দেখা মেলেনি। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অব্যাহত আছে। ফলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে দিতে মাইকিং করা হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির মোকাবিলায় চট্টগ্রামে ৬০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসন রাতে জরুরি সভা করে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকার পাশাপাশি ২৪৪ মেট্রিক টন চাল, ছয় লাখ ৮০ হাজার গো খাদ্য, ছয় লাখ ৮০ হাজার শিশু খাদ্য মজুত আছে। জেলা প্রশাসন একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে।