যুদ্ধ বিরতির বিনিময়ে গাজা থেকে জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস, শিগগিরই এমন একটি চুক্তি হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এখনও কিছু চূড়ান্ত না হলেও গাজায় বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে। এরমধ্যে প্রথমবারের মতো অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। তবে এখন অপেক্ষা শুধু হামাসের পক্ষ থেকে জবাব পাওয়ার।
সোমবার (২১ নভেম্বর) ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে এই সমঝোতায় আসতে আগ্রহী ইসরাইল।
ইসরায়েলি চ্যানেলটির বরাত দিয়ে আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, হামাস যদি তাদের থাকা জিম্মিদের মুক্তি দেয়, তাহলে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদেরও ছেড়ে দেবে তারা। এখন অপেক্ষা কেবল হামাসের জবাবের।
জিম্মিদের মুক্ত করতে হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানোর ব্যাপারটি ইসরায়েল যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে উল্লেখ করে কান জানিয়েছে, বল এখন হামাসের কোর্টে। হামাস ইতিবাচক সাড়া দিলে সহজেই সমঝোতা হতে পারে।
সোমবারের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, গাজায় ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কাছাকাছি আছি এবং আশা করি একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যেতে পারে, তবে এখনও কাজ করা বাকি আছে।’
সশস্ত্র ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। যদিও শুরুতে এ সংখ্যা এক হাজার ৪০০ দাবি করেছিল দেশটি। ২০০ ব্যক্তিকে জিম্মি করে হামাস (শুরুতে সংখ্যাটি ২৪০ বলা হয়েছিল)।
হামাসের হামলার জবাবে ওই দিনই গাজায় প্রতিশোধমূলক ও নির্বিচার বিমানহামলা শুরু করে ইসরায়েল। কিছুদিন পর এতে যোগ দেয় স্থলবাহিনী। প্রায় ৪০ দিন ধরে চলমান হামলায় গাজায় ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।