বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ষষ্ঠ দফায় ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে। বুধবার (২২ শে নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে এ অবরোধ চলবে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত।

এই কর্মসূচিতে সড়ক, রেল, নৌ ও রাজপথসহ সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছে দলগুলোর নেতাকর্মীরা। তবে সংবাদপত্রের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার গাড়ি ও ওষুধ পরিবহনসহ  জরুরি সেবাসমূহ এ অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে।

এদিন রাজধানীর আগারগাঁও, ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজারসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম দেখা গেলেও অফিসগামী মানুষের ভিড় ছিল না খুব একটা। ফলে বলাই যায়, অবরোধে খুব একটা প্রভাব পড়েনি রাজধানীবাসীর জীবনযাত্রায়। অন্য দিনগুলোর মতো আজ সকালেও স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম চলছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

রাজধানীর নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, আজিমপুর, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও ধানমণ্ডি এলাকায় সকাল থেকে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করেছে গণপরিবহন। প্রথম ধাপের অবরোধ কর্মসূচির শুরুর দিকে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দেখা গেলেও ষষ্ঠ ধাপে তা চোখে পড়েনি। অফিস, স্কুল কিংবা জরুরি কাজে বের হওয়া সাধারণ মানুষকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়নি বাস স্টপেজগুলোতে। রাস্তায় গণপরিবহনের ঘাটতি থাকলেও মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল রয়েছে চোখে পড়ার মতো।

এর আগে গত সোমবার দলটির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের মধ্যে এই অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের পরদিন দলটি সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে।

এরপর এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। এরপর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধ পালন করে বিএনপি।

এরপর এক দিনের বিরতি দিয়ে ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ দেওয়া হয়। আবারও শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে চতুর্থ দফায় ১২ ও ১৩ নভেম্বর দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করে দলটি।

এক দিন বিরতি দিয়ে ১৫ ও ১৬ নভেম্বর আবারও বিএনপি অবরোধ কর্মসূচি দেয়। পরে ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে ১৯ ও ২০ নভেম্বর হরতাল ডাকে বিএনপি।