গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় একই পরিবারের অর্ধশতাধিক সদস্যের প্রাণ গেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) লন্ডনে সফররত ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি এর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা। বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হতে পারে এমন একটি যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তিতে পৌঁছার পরও ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি বলেন, উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আজ সকালে কাদৌরা পরিবার থেকে ৫২ জনকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে। ‘আমার কাছে তাদের মধ্যে ৫২টি নামের তালিকা আছে। দাদা থেকে নাতি-নাতনি পর্যন্ত তারা সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
দক্ষিণ গাজায় আল জাজিরার তারেক আবু আজজুম বলেছেন, বুধবার ভারী হামলা অব্যাহত রয়েছে।
ইসরায়েলি হামলায় খান ইউনিসের একটি আবাসিক ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হওয়ার পর তিনি বলেন, ‘এই এলাকাগুলোকে উত্তর থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য নিরাপদ স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু তারা একই মাত্রার ইসরায়েলি বোমা হামলার সম্মুখীন হচ্ছে।’
খান ইউনিসে পৃথকভাবে ১০০টিরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃতদেহ মূলত উত্তর গাজার আল-শিফা হাসপাতালে রাখা হয়েছিল, যা বারবার ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা আক্রমণ করা হয়েছিল। একটি গণকবরে তাদের দাফন করা হয়।
গাজা শাসনকারী ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তিটি অবরুদ্ধ অঞ্চলে প্রায় সাত সপ্তাহের যুদ্ধের পরে আসে, যে যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং আরও কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
চুক্তির মূল বিশদটি অস্পষ্ট রয়ে গেছে। তবে এতে গাজায় বন্দি ৫০ জন বেসামরিক জিম্মির মুক্তি, ইসরায়েলি কারাগারে আটক ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া এবং গাজায় শত্রুতা বন্ধের জন্য চার দিনের বিরতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। অবরুদ্ধ ছিটমহলে মানবিক সাহায্যের আগমনের সঙ্গে এই বিরতিটি মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।