আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো বা না-পাঠানো জাতিসংঘের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ নির্বাচন নিয়ে যত বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে, যত অপবাদ ছাড়ানো হয়েছে…সেখানে কিন্তু অনেকে ভেবেছিল বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সাড়া দেবেন না। কিন্তু ইতোমধ্যে শতাধিক পর্যবেক্ষক সাড়া দিয়েছেন। এ নিয়ে আমরা চিন্তিত না।
তিনি বলেন, নির্বাচনে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক না পাঠালেও যুক্তরাষ্ট্র ও কমনওয়েলথসহ অনেকে পাঠাচ্ছে। এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে প্রায় শতাধিক পর্যবেক্ষকের নাম চলে এসেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাওয়া অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন, আওয়ামী লীগের চাওয়া একই।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রওশন এরশাদের নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত তার ব্যক্তিগত। কিন্তু তার দল নির্বাচন করছে। এটা জাতীয় পার্টি নির্বাচন বয়কটের মধ্যে পড়ে না।
১৪ দলীয় জোটের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জোটের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আসন বণ্টনের সুযোগ রয়েছে। জোটও ভেঙে দেওয়া হয়নি। শরীকদের হতাশ করা হয়নি। এখনও আসন বণ্টনের সুযোগ রয়েছে।’
তৃণমূল বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ চমক দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আরও চমকের জন্য নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাওয়া অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন, আওয়ামী লীগের চাওয়া একই।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ-বিপক্ষে থাকা উচিত নয় বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার হাসের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।