টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পথে বেশ কয়েকটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, ছাড়িয়ে গেছেন সাকিব আল হাসানকে। প্রথম ইনিংসটা দুর্দান্তই শুরু করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে সেভাবে রাঙানো হয়নি টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক। বাজে এক শটে সাজঘরে ফিরেছিলেন টপ-অর্ডার এই ব্যাটার। এবার দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুচালেন সেই আক্ষেপ। প্রথম বাংলাদেশি টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁলেন শান্ত। ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি পেতে শান্ত খেলেছেন ১৯২ বল।
এখন তিনিই টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি পাওয়া বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার। প্রথম দুদিন কেটেছিল সমতায়। শান্তর সেঞ্চুরির কল্যাণে সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনটি শুধুই বাংলাদেশের।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড করে ৩১৭ রান। তৃতীয় দিনশেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করেছে স্বাগতিকরা। লিড নিয়েছে ২০৫ রানের। ১৯৩ বলে ১০৪ রান করে শান্ত ও ৭১ বলে ৪৩ রান নিয়ে মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ দিন শুরু করবেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ৭ রানে পিছিয়ে থেকে নিজের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৯ রানে লাঞ্চে যায়। তবে তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্ন-বিরতির পর তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।
দলীয় ২৬ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসে লাল-সবুজ শিবির। গেল দুই দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার বাড়তি টার্ন পেয়েছেন স্পিনাররা। তাতেই পরাস্ত হন জাকির। ইনিংসের ১৩তম ওভারে অ্যাজাজ প্যাটেলের অফ-স্ট্যাম্পের অনেকটা বাইরের বল জাকিরের পায়ে আঘাত করে। এতে লেগ-বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই ওপেনার। ৩০ বলে ১৭ রান করে ফেরেন এই ওপেনার।
পরের ওভারেই আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার জয়ও। সাউদির বলে স্ট্রেইট ড্রাইভ করেছিলেন শান্ত। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তা সাউদির হাত স্পর্শ করে বল আঘাত হানে নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্ট্যাম্পে। এ সময়ে পপিং ক্রিজের বাইরে ছিলেন জয়। ফলে একরাশ হতাশা নিয়ে তাকে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়। প্রথম ইনিংসে ৮৬ রান করা জয় এবার মাত্র ৮ রানে আউট হয়েছেন।
শুরুর সেই ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই সামাল দেয় টিম টাইগার্স। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন শান্ত ও মুমিনুল।
তবে ভুল কল দিয়ে রান আউট হয়েছেন মুমিনুলও। ডাউন দ্য উইকেটে এসে সোজা শট খেলেন সাবেক এই দলপতি। ফিল্ডারের কাছে বল যাচ্ছে দেখেও দৌড় দেন তিনি। এ সময়ে শান্ত সাড়া না দেওয়ায় রান-আউটের ফাঁদে পড়েন মুমিনুল। এতে ভাঙে তাদের ৯০ রানের জুটি।
এরপর দলীয় স্কোর বাড়ানোর দায়িত্ব পরে মুশফিক ও শান্তর ওপর। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ২০৫ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগেই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে নাম লেখান শান্ত। তৃতীয় দিন শেষে শান্ত ১০৪ ও মুশি ৪৩ রানে অপরাজিত আছেন।