তাইজুলের স্পিনে সিলেট টেস্টে জয়ের অপেক্ষায় টাইগাররা। ৩৩২ রানের লক্ষ্যে ৭ উইকেটে ১১৩ রান সংগ্রহ নিউজিল্যান্ডের। জয়ের জন্য শেষদিন বাংলাদেশের দরকার মাত্র ৩ উইকেট। শুক্রবার সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে কিউইদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১১৩ রান। তাদের সামনে রয়েছে ৩৩২ রানের লক্ষ্য ছোঁয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ। অর্থাৎ জয় থেকে এখনও ২১৯ রান দূরে তারা। ম্যাচের পরিস্থিতি ও উইকেট বিবেচনায় নিউজিল্যান্ড অসম্ভব কিছু না করে ফেললে বাংলাদেশের জয় এখন কেবল সময়ের ব্যাপার।
৩৩২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করে জেতার জন্য রেকর্ড করতে হতো কিউইদের। কারণ এর আগে ৩২৪ রানের বেশি তাড়া করে জেতেনি তারা। ১৯৯৪ সালে পাকিস্তানকে এই রান তাড়া করে হারিয়েছিল তারা, সেটিই তাদের সর্বোচ্চ। দ্বিতীয়টি ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষেই, ২০০৮ সালে তারা ৩১৭ রান তাড়া করে হারায় তিন উইকেটে।
এই রান তাড়া করা এমনিতেও নিউজিল্যান্ডের জন্য কঠিনই ছিল। ইনিংস যত এগিয়েছে, তত বেশি স্পষ্ট হয়েছে সেটি। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম উইকেট নেন এই টেস্টের একাদশে থাকা একমাত্র পেসার শরিফুল ইসলাম। সেটিও ইনিংসের প্রথম ওভারেই।
তার করা ওভারের শেষ বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। পরের উইকেটটির জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় আরও নয় ওভার। এবার তাইজুল ইসলামের বলে সামনে এসে ডিফেন্স করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন কেইন উইলিয়ামসন। তাইজুলের সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো দল। আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ানই বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হতে পারতেন। রিভিউ নিয়েও পরে বাঁচতে পারেননি তিনি।
পরের ব্যাটারদের প্রায় কেউই ভিত শক্ত করে দাঁড়াতে পারেননি। ৮ বলে ২ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে নাঈম হাসানের হাতে ক্যাচ দেন হেনরি নিকোলস। ৩০ রানে ৩ উইকেট হারানো দলের বিপদ আরও বাড়ে সেট হওয়ার আভাস দেওয়া ডেভন কনওয়ে আউট হলে। ৭৬ বলে ২২ রান করা এই ব্যাটারকে শাহাদাৎ হোসেনের ক্যাচ বানান তাইজুল।
এরপর নিউজিল্যান্ডের হয়ে একাই লড়ছেন ড্যারল মিচেল। ৮৬ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত আছেন তিনি। তার সঙ্গী ইশ সোধি ২৪ বলে করেছেন ৭ রান।