গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস ও রাফাহ লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গাজা উপত্যকার নুসিরাত শরণার্থীশিবিরের একাধিক বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় শিশু, নারীসহ অন্তত ১৩ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে। গাজার উত্তরে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ১০টি মৃতদেহ।

আল জাজিরার প্রতিনিধি হানি মাহমুদ বলেছেন, “গত রাত পর্যন্ত চলমান ইসরায়েলি বিমান হামলায় খান ইউনিসের পূর্ব দিকের বেশিরভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানকার বাসিন্দাদের শহরের পশ্চিম দিকে বা রাফাহ শহরে সরে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সাধারণ ফিলিস্তিনিদের গাজার রাফাহতে যেতে বলছে। কিন্তু, ফিলিস্তিনিরা যখন ওই অঞ্চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তখন তাদের ওপর বোমা হামলা করছে ইসরায়েলের সেনারা। এখন সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে এই যে গাজায় কোনো নিরাপদ স্থান নেই।

হানি মাহমুদ বলেন, খান ইউনিসের এলাকায় শত শত বাসিন্দা এখনও আটকা পড়ে আছে। কারণ, শহরের অন্যান্য অংশে বা আরও দক্ষিণে যাওয়ার প্রধান রাস্তাগুলো ধ্বংস বা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইসরায়েলি বিমান হামলায়। ইসরায়েলের সেনারা এসব রাস্তা দিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করছে। গাজার উত্তরে ইসরায়েলি হামলায় ৫০টি বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে অন্তত ১০টি মৃতদেহ বের করেছে।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে হাজার হাজার লোক তাবু অথবা বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ভেতরেই বসবাস করছে।

যদিও এইদিকে উত্তরের মতো ততোটা ভয়াবহ ধ্বংস হয়নি, তবে কোরি স্কার ও জ্যামন ফন ডেন হোয়েকের বিশ্লেষণ অনুযায়ী শহরের অন্তত ১৫ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনারা গাজার মানুষদের যেমন উত্তর থেকে সরিয়ে দিয়েছে, তেমনি পুরো উপত্যকাকে পশ্চিমের দিকে আলাদা করে ফেলেছে, যাতে দক্ষিণ থেকে গাজা শহরকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা যায়।