আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে আবারও শুরু হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ। বিএনপিসহ সমমনাদের ডাকা ১০ দফার এ অবরোধ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে চলবে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকেই সড়ক মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে, অবরোধ কর্মসূচির আগের রাতে ঢাকায় তিনটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। রাত ২টার দিকে বাড্ডার আফতাবনগরে দাঁড় করিয়ে রাখা আকাশ পরিবহনের দুটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এর আগে, রাত ১২টার দিকে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের সামনের সড়কে একটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে পথচারীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
যদিও বুধবার সকালে সড়ক ও জনজীবনে অবরোধের খুব একটা প্রভাব দেখা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই যানবাহন চলাচল করছে রাজধানীতে। সকাল থেকে তিনটি টার্মিনালই ছেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির দূরপাল্লার বাস। যদিও সংখ্যায় তা স্বাভাবিক তুলনায় কম।
নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোতায়েন রয়েছেন পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে তল্লাশি করতে দেখা গেছে। এছাড়া, গাবতলীর পর্বতে বাস থামিয়েও তল্লাশি করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন চলছে। ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হবে বুধবার ভোর ৬টা থেকে, চলবে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত। এ অবরোধ কর্মসূচিতে সর্বস্তরের বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীরা রাস্তায় থাকবেন। জনগণ এ অবরোধ কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়েছে।
এরপর রিজভীর নেতৃত্বে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় মশাল মিছিল বের হয়।
প্রসঙ্গত, ঢাকায় গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরদিন ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে বিএনপি। এরপর বিভিন্ন মেয়াদে এ নিয়ে ১০ বার অবরোধের ডাক দিলো দলটি।