দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এপর্যন্ত বৈধ প্রার্থী ২ হাজার ২শ ৬২ জন। বাছাইয়ে বৈধ ১ হাজার ৯শ ৮৫ আর আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান ২শ ৭৭ জন। তবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার জন্য অপেক্ষা করতে হবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৪শ ৫৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিলের রিটানিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে।
গেলো ৩০শে নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২ হাজার ৭শ ১৬ জন প্রার্থী হওয়ার আবেদন জমা দেন। পহেলা ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটানিং কর্মকর্তারা এসব মনোনয়নপত্র বাছাই করেন।বাছাইয়ে বৈধ প্রার্থী হয় ১ হাজার ৯শ ৮৫ জন। আর ঋণ ও বিল খেলাপি, হলফনামায় তথ্য গোপন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১শতাংশ ভোটারের সমর্থন না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে বাতিল হয় ৭শ ৩১ জনের মনোনয়নপত্র।
ক্ষুব্ধ প্রার্থীরা ৫ই ডিসেম্বর থেকে ৯ই ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রার্থীতা ফিরে পেতে ৫শ ৬০ টি আপিল আবেদন করেন। গত ১০ই ডিসেম্বর থেকে ১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব আপিলের শুনানি করে কমিশন। ২শ ৮৫টি আপিল মঞ্জর করে ইসি, আর বাতিল করে ২শ ৭৫টি। এরমধ্যে প্রার্থীতা ফিরে পান ২শ ৭৭ জন।এদের মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১শ ৪৪ জন আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ১শ ৩৩ জন। জাতীয় পার্টি, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, তৃণমূল বিএনপি সবচেয়ে বেশি প্রার্থীতা ফেরত পেয়েছে। আপিলে ফেরত পাওয়া প্রার্থীসহ এখন মোট বৈধ প্রার্থী ২ হাজার ২শ ৬২ জন।
প্রার্থী সংখ্যা প্রতিদিনই পরিবর্তন হচ্ছে কারণ আদালতের আদেশেও অনেকে প্রার্থীতা ফিরে পাচ্ছেন। তবে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন রোববারের পরে চূড়ান্ত তালিকা পাওয়া যাবে।
আপিল শুনানিতে ঋণখেলাপীর অভিযোগে যশোর-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী এনামুল হক বাবুল ও ময়মনসিংহ-৯ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুস সালামের প্রার্থীতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থীতা বাতিল হয়। একই কারণে প্রার্থীতা হারান বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহ।
এদিকে, আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বিএনপির বহিস্কৃত নেতা কিশোরগঞ্জ ২ সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামান,মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে বিকল্পধারার প্রার্থী মাহি বি চৌধুরীর প্রার্থীতা ফিরলেও বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান প্রার্থীতা ফেরত পাননি।