টি-টোয়েন্টির পর এবার ওয়ানডেতেও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের এর আগে এই ফরম্যাটে দুবার হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচটি তারা জিতেছে ১১৯ রানের বিশাল ব্যবধানে।
ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার আড়াইশ ছোয়া সংগ্রহ পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। এরপর দুর্দান্ত বোলিংয়ে সাউথ আফ্রিকাকে দেড়শর আগেই আটকে ফেলে বাংলাদেশের মেয়েরা। যার সুবাদে প্রোটিয়াদের মাটিতে প্রথমবার ওয়ানডে জয়ের স্বাদ নিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। তাও বিজয়ের দিনে ইতিহাস গড়ে।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ নারী দলের রানের হিসেবে এটাই সবচেয়ে বড় জয়। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ম্যাচসেরা হয়েছেন মুর্শিদা খাতুন।
(১৬ ডিসেম্বর) ইস্ট লন্ডনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ২৫০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। তিনে নামা মুর্শিদা খাতুন খেলেন ১০০ বলে ১২ চারে অপরাজিত ৯১ রানের দারুণ ইনিংস। বাকিরা কেউ ফিফটি ছুঁতে না পারলেও যোগ্য সঙ্গ দেন মুর্শিদা খাতুনকে।
শামীমা সুলতানা ও ফারজানা হকের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৬৬ রান। ৩৪ রান করা শামীমা ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর ফারজানাও বেশিক্ষণ টেকেননি। ৭৬ বলে ৩ চারে ৩৫ রান করেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির সঙ্গে ৮০ রানের জুটি বাঁধেন মুর্শিদা। ভালো খেলতে থাকলেও ৪৮ বলে ৫ চারে ৩৮ রানে আউট হন জ্যোতি। তবে স্বর্ণা আক্তারের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৬০ রানের জুটি গড়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ আড়াইশতে নিয়ে যান মুর্শিদা। এর আগে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ২৩৪ রান। গত বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৭ উইকেট হারিয়ে এই রান তুলেছিল টাইগ্রেসরা।
২৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নাহিদা-রাবেয়াদের তোপে ৭৬ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে প্রোটিয়ারা। একশর আগে হারায় ৮ উইকেট।
হাল ধরে পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেছেন সাত নম্বরে নামা এলিজ-মারি মারক্স। শেষ ব্যাটার হিসেবে তিনিই আউট হয়েছেন ৩৫ করে। ৩৬.৩ ওভারে ১৩১ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাংলাদেশের নাহিদা আক্তার নেন ৩টি উইকেট। সুলতানা খাতুন, রাবেয়া খান আর ফাহিমা খাতুনের শিকার ২টি করে উইকেট।