নাশকতা এড়াতে ও ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রাতে চলাচলকারী ৬টি লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিছু দিনের মধ্যে আরও কয়েকটি ট্রেন বন্ধ করা হবে বলেও জানা গেছে। আজ শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, রাতের বেলা যে ট্রেনগুলো চলাচল করে এবং যে সব রুটে ঝুঁকিপূর্ণ স্পট বেশি সে ট্রেনগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হবে। এরইমধ্যে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রাজশাহী থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত উত্তরা এক্সপ্রেস এবং ঈশ্বরদী থেকে রহনপুর পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় অফিস সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে।
ইতিমধ্যে নাশকতা এড়াতে রাজশাহী থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত উত্তরা এক্সপ্রেস এবং ইশ্বরদী থেকে রহনপুর পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
ওই চিঠিতে বলা হয়, হরতাল-অবরোধে নাশকতা এড়ানোর জন্য পার্বতীপুর-রাজশাহী-পার্বতীপুর রুটে চলাচল করা উত্তরা এক্সপ্রেসটির চলাচল ২২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, মূলত ট্রেনটি অনেক রাতে যাত্রা করে। আমরা ট্রেনটির নিরাপত্তা দিতে পারছি না। ট্রেনটির নিরাপত্তার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপদ ট্রেন করতে যা যা করার দরকার অমরা মিটিং করে সেটি করছি।
তিনি আরও বলেন, ট্রেনটি এখন পাইলটিং করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি আগে যাবে পরে মূল ট্রেন যাবে। তবে ইঞ্জিন ও জনবলগুলো আন্তঃনগর ট্রেনে ব্যবহার করা হবে।
গত শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে একটি বগির কয়েকটি সিট পুড়ে যায়।