সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ একদফা দাবি ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ চলছে। আজ রোববার (২৪ শে ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয় এ কর্মসূচি শেষ হবে এদিন সন্ধ্যা ৬টায়। সড়ক-রেল-নৌপথে দিনব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। তবে সংবাদপত্র পরিবহনকারী বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ পরিবহনকারী যানবাহন অবরোধের আওতার বাইরে থাকবে।
সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়ার পর এটি প্রথম দফার এবং সব মিলিয়ে দ্বাদশ দফার অবরোধ কর্মসূচি। যদিও সকাল থেকে অবরোধের কোনো প্রভাব নেই রাজধানীর সড়কগুলোতে। স্বাভাবিকভাবেই সব গণপরিবহন চলতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুলছে দোকানপাটও। শুরু হয়েছে কর্মচাঞ্চল্য।
রাজধানীর মহাখালী, বনানী, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, সাইন্সল্যাবরেটরিসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা ও সড়ক ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ডগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের মতোই মানুষজনের উপস্থিতি রয়েছে। আর গণপরিবহন চলাচলের হারও স্বাভাবিক। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, স্টাফ বাস, সিএনজি, মোটরসাইকেল এবং রিকশার উপস্থিতিও চোখে পড়ার মত।
ঢাকা জেলার বাইরে থেকে যেসব বাস, মিনিবাস ভেতরে প্রবেশ করে সেসব বাসের উপস্থিতিও স্বাভাবিক। বেশ কয়েক জায়গায় যানজটও দেখা গেছে।
তবে বরাবরের মতোই সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সংশ্লিষ্ট থানা এবং ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে। পাশাপাশি থানা পুলিশকে গাড়ি নিয়েও টহল দিতে দেখা যায়।
এর আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ অবরোধের ঘোষণা দেন। ওই সময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকারে পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা; অবাধ-সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলমান। এ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন বর্জন এবং অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে আমাদের এ কর্মসূচি।