নানা প্রতিকূলতা, সংকট, অর্জন ও সম্ভাবনার পথ দেখিয়ে বিদায় নিচ্ছে ২০২৩। বিদায়ী বছরের অনেকটা জুড়ে আলোচনায় ছিলো রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষা খাতের সংকট। বছর জুড়ে প্রস্তুতির পর ২০২৩ এর শেষ লগ্নে এখন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে এগুচ্ছে দেশ।
অতঃপর কালপ্রভাতে ‘রবির কর’ দশ দিগন্তে আলোক রেখা ছড়িয়ে চোখ মেলবে নতুন দিনে। অভিবাদন নতুন বর্ষ ২০২৪। হ্যাপি নিউ ইয়ার। পুরাতন স্বপ্নগুলো বিচূর্ণ হলে নতুন স্বপ্ন সামনে এগিয়ে আসে। যে অনুক্ষণ, দিন যায়—তা আর ফেরে না। শনি-রবি বা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি অক্ষয়-অব্যয় নামগুলো বারবার ফিরে আসে কিন্তু যে সালটি একবার বিদায় নেয় তার আর কখনো প্রত্যাবর্তন হয় না। ইতিহাসের পাতায় চিরনিদ্রায় শায়িত হয়। ধাবমান সময়ের পথে মানুষের চাওয়া-পাওয়া, স্বপ্ন, আশা-প্রত্যাশা অপূর্ণই থেকে যায়। তবুও মানুষ বাঁচার স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন বুনে আগামী দিনের। আশার ফানুস ওড়ায় নতুন দিনের।
খ্রিষ্ট বর্ষ পরিক্রমায় শেষ হতে চলেছে ২০২৩। বিদায়ী বছরে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন রসায়ন। যা নির্বাচনী বছরে নানামুখী আলোচনার খোরাক যুগিয়েছে। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে আমেরিকার অতি আগ্রহী ভূমিকা যেমন আলোচনায় ছিল, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেলফি- দেশের রাজনীতিতে আলোচিত ঘটনা।
বছরের প্রথম ভাগে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। বছর জুড়ে আলোচনায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক সংকট। নতুন বছরে জাতীয় নির্বাচনের মধ্যদিয়ে একটা পরিবর্তনের প্রত্যাশা শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ।
তিনি জানান, বিদায়ী বছরে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তকের নিু মান ও ভুল নিয়ে যেমন সমালোচনা হয়েছে, তেমনি শিক্ষাক্রমের সমালোচনাও হয়েছে ঘুরেফিরে।
বৈশ্বিক ও জাতীয় প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বার বার ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশ। সংকট যেমন ছিলো তেমনি সম্ভাবনাও অপার বলে জানান শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ।
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ২৯টি দল বহুমুখী সমঝোতায় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। দলীয় কোন্দলে এবার নির্বাচনের বাইরে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও এরশাদপত্নী বেগম রওশন এরশাদ। বিদায়ী বছরে বিএনপির রাজনৈতিক সাফল্য হচ্ছে তাদের সমমনা ২৩টি দলকে যুগপৎ আন্দোলনে এক ছাতার নিচে আনা।